Delhi : যুবকের মৃত্যুর জন্য দায়ী করে এক তরুণীকে গণধর্ষণ করার পর চুল কেটে, মুখে কালি লাগিয়ে, দিল্লির রাস্তায় ঘোরানো হলো দেশজুড়ে নিন্দার ঝড়, মোদি সরকারের আমলে আর কত নারী সম্মান হারাবে? প্রশ্ন নাগরিকদের
বাংলার জনরব ডেস্ক : এক যুবকের মৃত্যুর কারণ হিসাবে গণধর্ষিতাকে অপহরণ করে, তাঁর চুল কেটে, মুখে কালি মাখিয়ে প্রকাশ্য রাস্তায় হাঁটানোর অভিযোগ উঠল এক দল মহিলার বিরুদ্ধে। শুধু হাঁটানোই নয়, এই ঘটনায় উল্লাস প্রকাশ করতেও দেখা গিয়েছে তাঁদের! ঘটনাটি ঘটেছে দিল্লির কস্তুরবা নগরে। অভিযোগ, বছর কুড়ির তরুণীকে প্রথমে গণধর্ষণ করেন অবৈধ মদের কয়েক জন কারবারি। সেই তরুণীকেই এ বার এক তরুণের মৃত্যুর জন্য দায়ী করে তাঁর উপর হামলা চালালেন মহিলারা। তাঁর মাথা মুড়িয়ে, গলায় জুতোর পরিয়ে, মুখে কালি লেপে রাস্তায় ঘোরানোর অভিযোগ উঠল ওই মহিলাদের বিরুদ্ধে।
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল এই ঘটনাকে , ‘অত্যন্ত লজ্জাজনক ঘটনা। অপরাধীরা এত সাহস পেল কোথা থেকে? কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং লেফটেন্যাটন্ট গভর্নর অনিল বাইজলকে আর্জি জানাচ্ছি পুলিশকে এ বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেওয়ার। দিল্লিবাসী এ ধরনের ঘৃণ্য কাজ এবং অপরাধকে কখনওই বরদাস্ত করবে না।’
গত ১২ নভেম্বর ওই তরুণ আত্মহত্যা করেন। তাঁর মৃত্যুর জন্য বছর কুড়ির এই তরুণীকেই দায়ী করেন মৃতের পরিবার। অভিযোগ, এর পরই তরুণীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যান মৃতের কাকা। তাঁকে গণধর্ষণ করা হয়।
দিল্লি পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, “এটা খুব দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা যে ব্যক্তিগত শত্রুতার জেরে এক জন মহিলার উপর এ ভাবে হামলা চালানো হয়েছে। তাঁর যৌন হেনস্থা করা হয়েছে। এই ঘটনায় চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।”
এই ঘটনায় সরব হয়েছেন দিল্লি মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন স্বাতী মালিওয়াল। তিনি বলেন, “২০ বছরের এক তরুণীকে অবৈধ মদের কারবারিরা গণধর্ষণ করেন। তার পর তাঁর মাথা মুড়িয়ে, জুতোর মালা পরিয়ে, মুখে কালি মাখিয়ে রাস্তায় হাঁটানো হয়। দিল্লি পুলিশকে এ বিষয়ে নোটিস দিয়েছি। এই ঘটনৈার সঙ্গে জড়িত সব অপরাধীকে দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছি। ওই তরুণী এবং তাঁর পরিবারের নিরাপত্তারও দাবিও জানানো হয়েছে।” সৌজন্যে ডিজিটাল আনন্দাবাজার।